ইতিহাস
একটু সহজ করে বলা যায় -
কম্পিউটার (computer) শব্দটি গ্রিক কম্পিউট(compute)শব্দ থেকে এসেছে। compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা।আর computer শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র।কিন্তু এখন আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা তথ্যগ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্হাপন করে। দেশে প্রথম কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে।
কম্পিউটার সিস্টেম
সিস্টেম হলো কতগুলো ইন্টিগ্রেটেড উপাদানের সম্মিলিত প্রয়াস যা কিছু সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কাজ করে।কম্পিউটার সিস্টেমের উপাদানগুলো নিম্নরুপ :-
(ক)নিউমেরিক (Numeric) ডেটা বা সংখ্যাবাচক ডেটা। যেমন – ২৫,১০০,৪৫৬ ইত্যাদি।
(খ)অ-নিউমেরিক (Non-Numeric) ডেটা। যেমন – মানুষ,দেশ ইত্যাদির নাম,জীবিকা,জাতি কিংবা ছবি,শব্দ ও তারিখ প্রভৃতি।
এমন একটি যন্ত্রের নির্মাণ ও ব্যবহারের
ধারণা (যা কেবলমাত্র যান্ত্রিকভাবে, মানে যেকোনও রকম বুদ্ধিমত্তা
ব্যতিরেকে, গাণিতিক হিসাব করতে পারে) প্রথম সোচ্চার ভাবে প্রচার করেন
চার্লস ব্যাবেজ, যদিও তার জীবদ্দশায় তিনি এর প্রয়োগ দেখে যেতে পারেননি।
কম্পিউটার বিজ্ঞানের সত্যিকার সূচনা হয় অ্যালান টুরিং এর প্রথমে তাত্ত্বিক
ও পরে ব্যবহারিক গবেষণার মাধ্যমে। বর্তমান প্রযুক্তিতে কম্পিউটারের অবদানের অন্তরালে রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষ নিরলস পরিশ্রম,
উদ্ভাবনী শক্তি ও গবেষনা স্বাক্ষর। প্রগৈতিহাসিক যুগে গননার যন্ত্র
উদ্ভাবিত বিভিন্ন কৌশল/ প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার ইতিহাস বলা যায়। প্রাচীন
কালে মানুষ সংখ্যা বুঝানোর জন্য ঝিনুক, নুড়ি, দড়ির গিট ইত্যাদি ব্যবহার
করত। পরবর্তিতে গননার কাজে বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্র ব্রবহার করে থাকলেও
অ্যাবাকাস (Abacus) নামক একটি প্রাচীন গননা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে
প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ অ্যাবাকাস থেকেই কম্পিউটারের ইতিহাসের
শুভযাত্রা। অ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গননা করার
যন্ত্র। খ্রিষ্ট পূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশরে/ চীনে গননা যন্ত্র হিসেবে
অ্যাবাকাস তৈরি হয়।
১৬১৭ সালে স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার (John Napier) গণনা কাজে ছাপা
বা দাগ কাটাকাটি/ দন্ড ব্যবহার করেন । এসব দন্ড নেপিয়ার (John Napier) এর
অস্থি নামে পরিচিত।
১৬৪২ সারে ১৯ বছর বয়স্ক ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল (Blaise Pascal)
সর্বপ্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন। তিনি দাঁতযুক্ত চাকা বা
গিয়ারের সাহায্যে যোগ বিয়োগ করার পদ্ধতি চালু করেন।
১৬৭১ সালের জার্মান গণিতবিদ হটফ্রাইড ভন লিবনিজ (Gottfried Von Leibniz)
প্যাসকেলের যন্ত্রের ভিত্তিতে চাকা ও দন্ড ব্যবহার করে গণ ও ভাগের
ক্ষমতাসম্পন্ন আরো উন্নত যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তেরি করেন।। তিনি যন্ত্রটির
নামদেন রিকোনিং যন্ত্র (Rechoning Mechine)। যন্ত্রটি তত্ত্বগত দিক দিয়ে
ভাল হলেও যান্ত্রিক আসুবিধার জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি।
পরে ১৮২০ সালে টমাস ডি কোমার bjgtut(Tomas De Colmar) রিকোনিং যন্ত্রের অসুবিধা দূর করে লাইবানজের যন্ত্রকে জনপ্রিয় করে তোলেন।
এর পর ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের আধ্যাপক চার্লস
ব্যাবেজ (Charles Babbage) ১৮২৩ সালে ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine)
বা বিয়োগফল ভিত্তিক গননার যন্ত্র উদ্ভাবন করেন।
কম্পিউটার (computer) শব্দটি গ্রিক কম্পিউট(compute)শব্দ থেকে এসেছে। compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা।আর computer শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র।কিন্তু এখন আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা তথ্যগ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্হাপন করে। দেশে প্রথম কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে।
কম্পিউটার সিস্টেম
সিস্টেম হলো কতগুলো ইন্টিগ্রেটেড উপাদানের সম্মিলিত প্রয়াস যা কিছু সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কাজ করে।কম্পিউটার সিস্টেমের উপাদানগুলো নিম্নরুপ :-
১. হার্ডওয়্যার,
২. সফট্ওয়্যার,
৩. হিউম্যানওয়্যার বা ব্যবহারকারী,
৪. ডেটা/ইনফরমেশন।
হার্ডওয়্যার (Hardware)
কম্পিউটারের বাহ্যিক আকৃতি সম্পন্ন সকল
যন্ত্র,যন্ত্রাংশ ও ডিভাইসসমূহকে হার্ডওয়্যার বলে।কম্পিউটারের
হার্ডওয়্যারকে প্রাথমিকভাবে তিনভাগে ভাগ করা যায়।
ক * ইনপুট যন্ত্রপাতিঃ কী-বোর্ড,মাউস,ডিস্ক,স্ক্যানার,কার্ড রিডার,ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।
খ * সিস্টেম ইউনিটঃ হার্ডডিস্ক,মাদারবোর্ড,এজিপি কার্ড ইত্যাদি।
গ * আউটপুট যন্ত্রপাতিঃ মনিটর,প্রিন্টার,ডিস্ক,স্পিকার ইত্যাদি।
সফট্ওয়্যার (software)
সমস্যা সমাধান বা কার্য সম্পাদনের
উদ্দেশ্যে কম্পিউটারের ভাষায় ধারাবাহিকভাবে সাজানো নির্দেশমালাকে
প্রোগ্রাম বলে। প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টি যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার
ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়্যারকে কার্যক্ষম
করে তাকেই সফট্ওয়্যার বলে।কম্পিউটারের সফট্ওয়্যারকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ
করা যায়। ক * সিস্টেম সফট্ওয়্যার : সিস্টেম সফট্ওয়্যার কম্পিউটারের
বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম
নির্বাহের জন্য কম্পিউটারের সামর্থ্যকে সার্থকভাবে নিয়োজিত রাখে। খ *
অ্যাপ্লিকেশন সফট্ওয়্যার : ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডেটা
প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহিত প্রোগ্রামকে অ্যাপ্লিকেশন সফট্ওয়্যার
বলে।ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক রকম তৈরি প্রোগ্রাম বাণিজ্যিক
পণ্য হিসেবে পাওয়া যায়, যাকে সাধারণত প্যাকেজ প্রোগ্রামও বলা হয়।
হিউম্যানওয়্যার বা ব্যবহারকারী (Humanware)
ডেটা সংগ্রহ,প্রোগ্রাম বা ডেটা সংরক্ষণ ও
পরীক্ষাকরণ,কম্পিউটার চালানো তথা প্রোগ্রাম লিখা,সিস্টেমগুলো ডিজাইন ও
রেকর্ড লিপিবদ্ধকরণ এবং সংরক্ষণ,সফট্ওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের মধ্যে
সমন্বয় সাধন ইত্যাদি কাজগুলোর সাথে যুক্ত সকল মানুষকে একত্রে
হিউম্যানওয়্যার (Humanware) বলা হয়।
ডেটা/ইনফরমেশন
ইনফরমেশন বা তথ্যের ক্ষুদ্রতম একককে ডেটা বলে।ডেটা হল সাজানো নয় এমন কিছু বিশৃঙ্খল ফ্যাক্ট (Raw Fact)ডেটা প্রধানত দুরকম -(ক)নিউমেরিক (Numeric) ডেটা বা সংখ্যাবাচক ডেটা। যেমন – ২৫,১০০,৪৫৬ ইত্যাদি।
(খ)অ-নিউমেরিক (Non-Numeric) ডেটা। যেমন – মানুষ,দেশ ইত্যাদির নাম,জীবিকা,জাতি কিংবা ছবি,শব্দ ও তারিখ প্রভৃতি।
অপারেটিং সিস্টেম
অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি
সফ্টওয়্যার যা কম্পিউটার প্রোগ্রামের এক্সিকিউশনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং যা
সিডিউলিং,ডিবাগিং, ইনপুট/আউটপুট কন্ট্রোল,একাউন্টিং,কম্পাইলেশন,স্টোরেজ
অ্যাসাইনমেন্ট,ডেটা ম্যানেজমেন্ট,এবং আনুষঙ্গিক কাজ করে থাকে। বর্তমানে
মাইক্রো কম্পিউটার বা পিসিতে বহুল ব্যবহিত অপারেটিং সিস্টেমগুলো হলো – PC
DOS,MS WINDOWS 95/98/2000,UNIX,UBUNTU,LinuxMint,MANDRIVA,DEBIAN,Fedora,MACOSX,WINDOWS XP,WINDOWS Vista,WINDOWS 7,Windows 8.
কম্পিউটারের রয়েছে প্রচুর ব্যাবহার| ঘরের
কাজ থেকে শুরু করে ব্যাবসায়িক, বৈজ্ঞানিক ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে এর
অপরিসীম ব্যাবহার| সর্বোপরি যোগাযোগ ক্ষেত্রে এটি এনেছে অনন্য বিপ্লব|
চিকিৎসা ও মানবকল্যানেও এটি এক অনন্য সঙ্গী| এক কথায় কম্পিউটার এমন এক
যন্ত্র যা প্রায় সকল কাজ করতে সক্ষম।
কম্পিউটারের প্রকার
প্রয়োগের তারতম্যের ভিত্তিতে কম্পিউটারকে দুভাগে ভাগ করা যায়।- সাধারণ ব্যবহারিক কম্পিউটার।
- বিশেষ ব্যবহারিক কম্পিউটার।
- এনালগ কম্পিউটার।
- ডিজিটাল কম্পিউটার।
- হাইব্রিড কম্পিউটার।
- মেইনফ্রেম কম্পিউটার।
- মিনি কম্পিউটার।
- মাইক্রো কম্পিউটার।
- সুপার কম্পিউটার।
এনালগ কম্পিউটার
যে কম্পিউটার একটি রাশিকে অপর একটি রাশির
সাপেক্ষে পরিমাপ করতে পারে,তাই এনালগ কম্পিউটার। এটি উষ্ণতা বা অন্যান্য
পরিমাপ যা নিয়মিত পরিবর্তিত হয় তা রেকর্ড করতে পারে।মোটর গাড়ির বেগ
নির্ণায়ক যন্ত্র এনালগ কম্পিউটারের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
ডিজিটাল কম্পিউটার
যে কম্পিউটার সংখ্যা ব্যবহারের মাধ্যমে
সমস্যার সমাধান করে তাই ডিজিটাল কম্পিউটার। এটি যে কোন গণিতের যোগ
প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে এবং বিয়োগ,গুণ ও ভাগের মতো অন্যান্য অপারেশন
যোগের সাহায্যে সম্পাদন করে। যে কারনে
হাইব্রিড কম্পিউটার হলো এমন একটি
কম্পিউটার যা এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যগুলোর
সমন্বয়ে গঠিত। এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহার করা হয়। সুতরাং বলা যায়,
প্রযুক্তি ও ভিত্তিগত দিক থেকে এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের আংশিক সমন্বয়ই
হচ্ছে হাইব্রিড কম্পিউটার।
মেইনফ্রেম কম্পিউটার
মেইনফ্রেম কম্পিউটার হচ্ছে এমন একটি বড়
কম্পিউটার যার সঙ্গে অনেকগুলো ছোট কম্পিউটার যুক্ত করে এক সঙ্গে অনেক কাজ
করতে পারে। জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণায়,উচ্চস্তরের প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ,বৃহৎ
প্রতিষ্ঠানের শৈল্পিক ব্যবহারে এটা কাজে লাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
পরিসংখ্যান বিভাগে ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে এ ধরনের কম্পিউটার
ব্যবহার করে – cyber 170,ibm-4300.
মিনি কম্পিউটার
যে কম্পিউটার টার্মিনাল লাগিয়ে প্রায় এক
সাথে অর্ধ শতাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে তাই মিনি কম্পিউটার। এটা
শিল্প-বাণিজ্য ও গবেষণাগারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যেমন –
pdp-11,ibms/36,ncrs/9290. যেমন সেটি
মাইক্রো কম্পিউটার
মাইক্রো কম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার
বা পিসি বলেও অভিহিত করা হয়। ইন্টারফেস চিপ, একটি মাইক্রোপ্রসেসর cpu এবং
ram, rom সহযোগে মাইক্রো কম্পিউটার গঠিত হয়। দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে
এ কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়।ম্যকিনটোস আইবিএম পিসি এ ধরনের
কম্পিউটার।
সুপার কম্পিউটার
অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুতগতিসম্পন্ন
কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটার বলে।এ কম্পিউটারের গতি প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ১
বিলিয়ন ক্যারেক্টর।পৃথিবীর আবহাওয়া বা কোনো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল
তথ্য ব্যবস্হাপনা করার মতো স্মৃতিভান্ডার বিশিষ্ট কম্পিউটার হচ্ছে সুপার
কম্পিউটার।CRAY 1, supers xll এ ধরনের কম্পিউটার।
[সংগ্রহীত উইকিপেডিয়া হতে]