আশরাফুল মাখলুকাত মানব জাতির কল্যাণে প্রেরিত মানব জাতির বিধান সমূহ প্রচার
ও প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহে আদম (আঃ) থেকে মুহাম্মাদ
(সাঃ) যুগে যুগে যে অসংখ্য নবী রাসূল প্রেরন করেছেন তাদের মধ্য থেকে মাত্র
২৫ জন নবীর নাম আল্লাহ পবিত্র কুরআনে গুরুত্ত্বের সাথে উল্ল্যেখ করেছেন এবং
সত্যের পথে তাঁদের দৃঢ়চিত্ত্ব সংগ্রামের হৃদয়গ্রাহী সংগ্রামের বর্ণনা
করে মানবতার সামনে সত্য ন্যায় ও সুন্দরের অনুপম মানদণ্ড উপস্থাপন করেছেন।
এসব কাহিনী কেবল চিত্ত বিনোদনের খোরাক নয়, বরং এক অবিরাম বিচ্ছুরিত
আলোকধারা, যার প্রতিটি কণায় বিকশিত হয় মানবতার সর্বোচ্চ নমুনা। নবী ও
রাসূলগণের জীবনালেখ্য জানা ও তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা আমাদের মুসলমানদের
অপরিহার্য কর্তব্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি বাংলাদেশে এর
বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস খুবই দুর্লভ। তাই বিষয়টির গুরুত্ত্ব উপলব্ধি করে
মাননীয় লেখক প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব এই মুল্যবান
ইতিহাসটি লিখেন।
এই বইটির বিশেষত্ব হচ্ছে-
কুরআনে ২৫ জন নবীর নাম বর্ণণা করা হয়েছে-- উনারা হলেন--
আদম, নূহ, ইদরীস, হূদ, ছালেহ, ইবরাহীম,
লূত, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকূব, ইউসুফ, আইয়ূব, শু‘আয়েব, মূসা, হারূণ,
ইউনুস, দাঊদ, সুলায়মান, ইলিয়াস, আল-ইয়াসা‘, যুল-কিফ্ল, যাকারিয়া,
ইয়াহ্ইয়া, ঈসা (আ) ও হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
বইটিতে দুটি খণ্ডে সম্মানিত এসকল আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের কাহিনী আলোচনা
করা হয়েছে।
পরিশেষে বলা যায়, “নবী কাহিনী” একটি
নির্ভরযোগ্য তথ্যবহুল বই। আশা করা যায়, এর মাধ্যমে পাঠক সমাজ মানবজাতির
প্রাচিন ইতিহাসের পাদপীঠে নিজেদের নতুনভাবে মূল্যায়ন করতে সক্ষম হবেন এবং
নবীদের উন্নত জীবনকে উত্তম আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করার প্রেরণা লাভ করবেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন : ‘তাদের কাহিনীতে
বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে শিক্ষণীয় বিষয়, এটা কোন মনগড়া কথা নয়, কিন্তু
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের জন্যে পূর্বেকার কালামের সমর্থন।’ [সূরা
ইউসুফ : ১১১]।